ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেন সীমান্তবর্তী দেশ বেলারুশ। প্রথম থেকেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভ্লাদিমির পুতিনকে অবস্থানগত সুবিধা দিয়ে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনের উপর আঘাত হানার জন্য রাশিয়া সম্প্রতি বেলারুশের উপর পারমাণবিক অস্ত্র ফেলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার সমর্থন অব্যাহত রাখার জন্য বেলারুশ সরকারকে মূল্য দিতে হবে, এবার সরাসরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দিচ্ছে।
শক্তিশালী রুশ বাহিনীকে রুখতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে ইউক্রেন। ফলস্বরূপ, পুতিনের বাহিনী ছয় দিনের লড়াইয়ের পরেও রাজধানী কিয়েভ দখল করতে পারেনি। এই অসম যুদ্ধ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের অনুঘটক হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় রাশিয়াকে সমর্থন অব্যাহত রাখায় বেলারুশকে বিস্মিত করে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের স্পষ্ট বার্তা: “লুকাশেঙ্কো যদি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসনকে সমর্থন করতে থাকে তবে সরকারকে মূল্য দিতে হবে।” ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোকে তার ভূমিকার বিষয়ে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
উল্লেখ্য, বেলারুশে রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটিতে ইউক্রেন হামলা চালায়। একই দেশে পুতিন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দেন। লুকাশেঙ্কো এমনকি বেলারুশের পারমাণবিক ঘাঁটি দিয়ে ইউক্রেন আক্রমণ করার জন্য পুতিনকে সমর্থন করেছেন। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে শীঘ্রই রুশদের পাশে থাকতে পারে বেলারুশ। এ অবস্থায় বেলারুশকে হুমকি দিয়েছে বিডেন প্রশাসন। এটা বোঝা যায় যে বেলারুশে রাশিয়ান সমর্থন হ্রাস পাচ্ছে। আমেরিকার হুঁশিয়ারি, তাহলে মূল্য দিতে হবে লুকাশেঙ্কোকে।
Read more :
প্রসঙ্গত, গতকাল বেলারুশে ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিদের মধ্যে পাঁচ ঘণ্টার বৈঠক হয়। রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম স্পুটনিকের খবরে বলা হয়েছে, দুই পক্ষ দ্বিতীয় দফা আলোচনায় সম্মত হয়েছে। তবে বৈঠকের পর রাশিয়া আরেকটি হামলা চালায় বলে জানা গেছে। কিয়েভ এবং খারকভে ক্ষেপণাস্ত্র এবং শেল পড়ছে। এমনকি সোমবার রাশিয়া একটি মারাত্মক “ভ্যাকুয়াম বোমা” ব্যবহার করেছে, সূত্র অনুসারে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ক্রমশ অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠছে।