ইউক্রেনে রাশিয়া বয়কট: ইউক্রেনের ওপর ভয়াবহ হামলা চালানো রাশিয়াকে বিশ্বে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চলছে। মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের বৈঠকেও এর দৃশ্য দেখা গেছে। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এই বৈঠকে বক্তৃতা শুরু করলেই অনেক দেশের নেতারা উঠে চলে যান। আসলে, ল্যাভরভের আগে থেকে রেকর্ড করা ভিডিও বার্তাটি চালানোর কথা ছিল, যা শুরু হওয়ার সাথে সাথে অনেক দেশের নেতারা চলে যান। এটা ছিল রাশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা। ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ইয়েভানিয়া ফিলিপেনকো, যিনি ওয়াকআউটের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, বলেছেন, “ইউক্রেনীয়দের জন্য আপনার সমর্থনের জন্য আমরা আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।” আপনি তাদের স্বাধীনতার জন্য এই সমর্থন দিয়েছেন।
ফরাসি রাষ্ট্রদূত জেরোম বেনাফন্ট বলেছেন, যেকোনো হামলা মানবাধিকার লঙ্ঘন। এ কারণে ব্যাপক হারে মানুষ মারা যাচ্ছে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। তিনি বলেন, এই ওয়াকআউট থেকে এটা স্পষ্ট যে মানবাধিকার কাউন্সিল ইউক্রেন ও তার জনগণের সঙ্গে আছে। এর কিছুদিন আগে নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক একটি সম্মেলনে লাভরভের ভাষণ সম্প্রচারের কথা ছিল, তাও ইউরোপীয় দেশগুলো বয়কট করেছিল। বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা চেম্বারের বাইরে জড়ো হয়েছিল এবং সেখানে ইউক্রেনের পতাকা নেড়েছিল। এখানে তিনি তীব্রভাবে ইউক্রেনের প্রশংসা করেন এবং রাশিয়ার নিন্দা করতে হাজির হন।
Read More :
শেষ মুহূর্তে জাতিসংঘ সফর স্থগিত করেছিলেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তবে এই বয়কটের সময়ও ইয়েমেন, সিরিয়া, ভেনিজুয়েলা ও তিউনিসিয়ার কূটনীতিকরা বসে বসে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য শোনেন। বৈঠকে যোগ দিতে মঙ্গলবার জেনেভায় পৌঁছানোর কথা ছিল রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। কিন্তু ইউরোপীয় দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে তিনি তার সফর বাতিল করেন। এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলেছেন। মঙ্গলবার তিনি একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে বলেছেন যে রাশিয়া বেসামরিক মানুষকে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, রাশিয়ার এই নিষ্ঠুরতা কেউ ভুলবে না বা ক্ষমা করবে না।