জাতিসংঘ: ইউক্রেনে হামলার পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), পশ্চিমা দেশ ও জাতিসংঘ ছাড়াও রাশিয়ার বিরুদ্ধে তৎপরতা শুরু করেছে আমেরিকা। গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে জাতিসংঘে রুশ মিশনের প্রায় এক ডজন কূটনীতিককে বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে বলে জানা গেছে। জাতিসংঘে রাশিয়ার মিশন থেকে বহিষ্কৃত কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা কর্মকর্তা হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সোমবার জাতিসংঘে রাশিয়ান মিশনের 12 সদস্যকে গুপ্তচরবৃত্তিতে জড়িত থাকার জন্য গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার ৫ম দিনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেনের প্রশাসন এই পদক্ষেপ নিয়েছে। রুশ হামলার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য অনেক দেশ।
কয়েক মাস ধরে প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া চলছে
জাতিসংঘে মার্কিন মিশন এক বিবৃতিতে বলেছে যে রুশ কূটনীতিকরা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর গুপ্তচরবৃত্তিমূলক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের অধিকারের অপব্যবহার করেছেন। মিশনটি বলেছে যে বহিষ্কারের প্রক্রিয়া বেশ কয়েক মাস ধরে চলমান ছিল এবং 193 সদস্যের বিশ্ব সংস্থার আয়োজক হিসাবে জাতিসংঘের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।
Read More :
আমেরিকা অজুহাত তৈরিতে পারদর্শী
এ বিষয়ে রুশ রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়ার কাছে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, রুশ কর্মকর্তারা গুপ্তচরবৃত্তির সঙ্গে জড়িত। তিনি বলেন, যখনই তিনি কোনো ব্যক্তিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন, তখনই তিনি এই অজুহাত দেন। এই একমাত্র ব্যাখ্যা তারা দেয়। রাশিয়া কি এর প্রতিশোধ নেবে? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা আমার সিদ্ধান্ত নয়, কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় এটা একটা সাধারণ ব্যাপার।
আমেরিকা রাশিয়ার শত্রু
নেবেনজিয়া সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে (ইউএনএসসি) বলেছেন যে তিনি এইমাত্র রুশ মিশনের বিরুদ্ধে আয়োজক দেশের আরেকটি বৈরী পদক্ষেপের তথ্য পেয়েছেন। তিনি এই পদক্ষেপকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণকারী ভিয়েনা কনভেনশনের গুরুতর লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন। নেবেনজিয়ার এই বিবৃতিতে মার্কিন উপ-রাষ্ট্রদূত রিচার্ড মিলস পরবর্তীতে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।