পিরিয়ডের সময় নারীদের নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। পায়ে এবং পিঠে ব্যথা ছাড়াও পেটের নীচের অংশে ক্র্যাম্প রয়েছে। একই সময়ে, অনেক মহিলাকে মেজাজের পরিবর্তন, বমি ইত্যাদি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। গ্রীষ্মের মৌসুমে প্যাড ব্যবহারের কারণে অনেক নারীই র্যাশের সমস্যায় পড়েন। পিরিয়ডের সময় হওয়া এই ফুসকুড়িগুলো হাঁটার ক্ষেত্রেও সমস্যা সৃষ্টি করে। এমন পরিস্থিতিতে মহিলাদের স্বাস্থ্যবিধির বিশেষ যত্ন নেওয়া দরকার, তা না হলে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে র্যাশের এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
4 ঘন্টা পর প্যাড পরিবর্তন করুন
অনেক সময় মহিলারা কাজে এতটাই ব্যস্ত থাকেন যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা প্যাড পরিবর্তন করেন না। এমন অবস্থায় র্যাশের সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেক বেশি বেড়ে যায়। অতএব, সর্বদা 4 ঘন্টার মধ্যে প্যাড পরিবর্তন করুন। এ ছাড়া শুধুমাত্র হালকা, নরম ও ভালো মানের প্যাড ব্যবহার করুন।
স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা
পিরিয়ডের সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিশেষ যত্ন নিন। সম্ভব হলে কুসুম গরম পানি দিয়ে তিন থেকে চারবার ব্যক্তিগত জায়গা পরিষ্কার করুন। এই সময়ে ডেটল বা কসমেটিক সাবান বা ক্রিম ব্যবহার করবেন না। বিশেষজ্ঞের নির্দেশ অনুসারে শুধুমাত্র হালকা গরম জল বা অন্তরঙ্গ ধোয়া ব্যবহার করুন। এটি ফুসকুড়ি এবং সংক্রমণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্তি পাবে।
পাউডার ব্যবহার করুন
সাধারণত আর্দ্রতার কারণে র্যাশের সমস্যা বেশি হয়। আর্দ্রতা এড়াতে, প্যাড পরিবর্তন করার সময়, হালকা গরম জল দিয়ে সেই জায়গাটি পরিষ্কার করুন এবং টিস্যু পেপার দিয়ে আর্দ্রতা দূর করুন। এর পরে অ্যান্টিফাঙ্গাল বা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল পাউডার ব্যবহার করুন। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে পাউডার কিনুন। এ ছাড়া পিরিয়ডের সময় সুতির ভেতরের পোশাক ব্যবহার করুন। কৃত্রিম অন্তর্বাস আপনার সমস্যা যোগ করতে পারে।
Read More :
নিম জল
ফুসকুড়ির সমস্যা সারাতে এবং এই সমস্যা এড়াতে নিমের জলও ব্যবহার করতে পারেন। নিমের অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে। এজন্য পানিতে নিম পাতা দিয়ে সিদ্ধ করুন। ঠাণ্ডা হওয়ার পর এই পানি দিয়ে প্রাইভেট এলাকা পরিষ্কার করুন।