রবিবার কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের ইতিহাসে আরও একটি সোনালি অধ্যায় যুক্ত হল। দীর্ঘ 187 বছর অপেক্ষার পর মন্দিরে সোনার প্রলেপ দেওয়া হয়। মন্দিরের গর্ভগৃহের ভিতরের দেওয়ালগুলি 30 ঘন্টার মধ্যে সোনা দিয়ে প্রলেপ দেওয়া হয়েছিল। ঘুমানোর পর গর্ভগৃহের ভেতরের হলুদ আলো সবাইকে সম্মোহিত করছে। মন্দির প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে ৩৭ কেজি সোনা লাগানো হয়েছে। বাকি কাজে আরও ২৩ কেজি সোনা ব্যবহার করা হবে।
বাবার দরবার হয়ে ওঠে অপূর্ব ও অকল্পনীয়
এ কাজ দেখে মন্দিরের গর্ভগৃহে সোনালী মান্দারিনের চলমান কাজ শেষ করে প্রথমবারের মতো পূজা দিতে আসা প্রধানমন্ত্রী বলেন, চমৎকার ও অকল্পনীয় কাজ হয়েছে। বিশ্বনাথের দরবারে সোনার প্রলেপ দিয়ে ভিন্ন চিত্র ফুটে উঠেছে।
প্রধানমন্ত্রী সন্ধ্যা ৬টার দিকে মন্দির প্রাঙ্গণে পৌঁছান, বিশ্বনাথ গেট দিয়ে প্রবেশের পর মন্দির চত্বরের উত্তর গেট থেকে গর্ভগৃহে প্রবেশ করেন। মন্দিরের আচারক সত্যনারায়ণ চৌবে, নীরজ পান্ডে এবং শ্রী দেব মহারাজ বাবার শোদাশোপচার পূজা করেন। পূজা শেষে প্রধানমন্ত্রী বাবা শ্রী কাশী বিশ্বনাথের কাছে মানুষের মঙ্গল কামনা করেন। এরপর ক্যাম্পাসের ভেতরে চারদিকে সোনার কাজ দেখেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সোনার মালা পরে দেয়ালে খোদাই করা বিভিন্ন দেব-দেবীর মূর্তি আরও স্পষ্টভাবে ফুটে উঠছে। স্বর্ণমন্ডনের পর গর্ভগৃহের আভা বেড়েছে বহুগুণে।
মন্দিরের দুটি শিখর 1835 সালে সোনালি করা হয়েছিল
1835 সালে, পাঞ্জাবের তৎকালীন মহারাজা রঞ্জিত সিং বিশ্বনাথ মন্দিরের দুটি চূড়ায় সোনার প্রলেপ দিয়েছিলেন। বলা হলো সাড়ে 22 মন ঘুমাতে শুরু করেছে। এরপর সোনা লাগানো ও পরিষ্কারের কাজ অনেকবার প্রস্তাব করা হলেও শেষ পর্যন্ত পৌঁছায়নি। কাশী বিশ্বনাথ ধামের উদ্বোধনের সাথে সাথে মন্দিরের অবশিষ্ট অংশ এবং গর্ভগৃহকে সোনায় তৈরি করার জন্য একটি কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছিল। এরই মধ্যে প্রায় দেড় মাস আগে বাবার এক ভক্ত মন্দিরের ভিতরে সোনা বসানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেন। মন্দির প্রশাসনের অনুমতি পাওয়ার পর সোনা লাগানোর জন্য পরিমাপ ও ছাঁচ তৈরির কাজ চলছিল। প্রায় এক মাস প্রস্তুতির পর শুক্রবার শুরু হয়েছে স্বর্ণা রোপণের কাজ।
Read More :
মন্দিরের চারটি দরজাও হবে সোনার
মন্দির প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, গর্ভগৃহের অভ্যন্তরে স্বর্ণ স্থাপনের কাজ শেষ হওয়ার পর এখন চারটি দরজা থেকে রৌপ্য সরিয়ে তাতে সোনার আস্তরণ লাগানো হবে। এরপর মন্দিরের চূড়ার অবশিষ্ট অংশে সোনার পাত বসাতে হবে।