বারাসত: সকাল 7টা থেকেই বারাসাত গরম। বুথে ঢুকে হাঙ্গামা শুরু করেন বিজেপি প্রার্থী। তার অভিযোগ, প্রিন্ট রান চলছে। ভোটে কারচুপি হয়েছে। এরপর আইন নিজের হাতে তুলে নেন শ্যামলী।বিজেপি প্রার্থী শ্যামলী দাশগুপ্ত তার এজেন্টকে চন্দনপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের 8/1 নম্বর বুথে বসতে না দেওয়ার অভিযোগে তার ইভিএম ভেঙে দিয়েছেন। ক্যামেরার সামনে একথা স্বীকারও করেছেন তিনি। কেন তিনি কিছু আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেননি? এই প্রশ্নের কোন উত্তর নেই।
ঘটনার পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিজেপি প্রার্থীকে ঘিরে স্থানীয়দের বিক্ষোভ। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি প্রার্থীর বাকবিতণ্ডা। তাকে বুথ থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়।
প্রিজাইডিং অফিসার নির্ধারিত পদ্ধতিতে অভিযোগ করেন। প্রার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। এই ঘটনা দেখার পর নির্বাচনী রিপোর্ট তলব করে রাজ্য।
রবিবার, রাজ্যের 20টি জেলার 108টি পৌরসভায় ভোট হয়েছে। সকাল 8টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যদিও ইতিমধ্যেই অশান্তির আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। বিকাল 5টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়। মোট ওয়ার্ড 2 হাজার 261টি। প্রতিটি বুথে সশস্ত্র পুলিশ ছাড়াও পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন। সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিত করতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে।
20টি জেলায় ভোটের দায়িত্বে 14 জন ডিআইজি, 3 জন এডিজি বা আইজি পদমর্যাদার কর্মকর্তা রয়েছেন। মোতায়েন করা হয়েছে ৪৪ হাজার পুলিশ সদস্য। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন 10 জন আইএএস, যাঁদের সিনিয়র স্পেশাল অবজারভার করা হয়েছে। পর্যবেক্ষক, বিশেষ পর্যবেক্ষক এবং সিনিয়র বিশেষ পর্যবেক্ষক সহ মোট 135 জন পর্যবেক্ষক থাকবেন। 2 মার্চ প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণা করা হয়।