নয়াদিল্লি: রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট: ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কির মতে, রাশিয়ার আক্রমণের প্রথম দিনেই 137 জন প্রাণ হারিয়েছেন। জেলেনস্কি এক ভিডিও ঠিকানায় এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আজ আমরা আমাদের 137 জন বীর, আমাদের নাগরিককে হারিয়েছি। আহত হয়েছে 316 জন। এ ছাড়া এ যুদ্ধে কারও সমর্থন না পাওয়ার কথাও বলেন তিনি। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন যে তার দেশ রাশিয়ার সাথে লড়াই করার জন্য বাকি ছিল। তিনি বলেন, “আমাদের সাথে যুদ্ধ করতে কে দাঁড়িয়ে আছে? আমি কাউকে দেখছি না। কে ইউক্রেনকে ন্যাটো সদস্যপদ দেওয়ার গ্যারান্টি দিতে প্রস্তুত? সবাই ভীত।”
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার ভিডিও বার্তায় রাজধানী কিয়েভে বসবাসকারী নাগরিকদের সতর্ক থাকতে বলেছেন। তিনি বলেন, রাশিয়ানদের একটি দল রাজধানী কিয়েভে প্রবেশ করেছে। এমতাবস্থায় শহরের নাগরিকদের সতর্ক হতে হবে এবং কারফিউ মেনে চলতে হবে। এ ছাড়া প্রেসিডেন্ট বলেন, রাশিয়ার টার্গেট এক নম্বর হওয়া সত্ত্বেও তিনি ও তার পরিবার ইউক্রেনে থাকবেন।
Read More :
আমরা আপনাকে বলি যে রাশিয়া দাবি করেছে যে তারা হামলার প্রথম দিনেই ইউক্রেনের 70 টিরও বেশি সামরিক ঘাঁটি ধ্বংস করেছে। এই হামলার কারণে ইউক্রেনের জনগণ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে। আসলে গতকাল রাশিয়া তার পূর্ণ সামরিক শক্তি নিয়ে ইউক্রেন আক্রমণ করেছে। ব্রিটেন (যুক্তরাজ্য) এবং আমেরিকা (মার্কিন) সহ অনেক দেশ এই হামলার নিন্দা করেছে এবং এর ভয়াবহ পরিণতির জন্য সতর্ক করেছে। কিন্তু এই হামলার জন্য আন্তর্জাতিক নিন্দা ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রুশ কর্মকাণ্ডে হস্তক্ষেপ করার যে কোনো প্রচেষ্টার “ফলাফল তিনি আগে কখনো দেখেননি”। পুতিন ন্যাটো এবং আমেরিকাকে সরাসরি এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন।