রুদ্রাক্ষের তাৎপর্য: হিন্দুধর্মে আধ্যাত্মিকতার অনেক গুরুত্ব রয়েছে, যেখানে অনেক লোক বিভিন্ন উপায়ে ঈশ্বরের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা প্রকাশ করে। যাইহোক, আধ্যাত্মিকতার জগৎ শুধুমাত্র ঈশ্বরের উপাসনার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় বরং অনেক বৈজ্ঞানিক তাৎপর্যের সাথে জড়িত। যেমন মনকে ঠান্ডা রাখতে কপালে চন্দন লাগানো হয়, সেখানে মন্দিরে প্রদীপ জ্বালালে আশেপাশের জীবাণু ধ্বংস হয়। এই পর্বে রুদ্রাক্ষের একটি নামও রয়েছে। মনকে শান্ত রাখতে সাধারণত অনেকেই রুদ্রাক্ষ পরিধান করেন। কিন্তু আপনি কি এটা ধরে রাখার সঠিক উপায় জানেন?
পুরাণ অনুসারে, রুদ্রাক্ষ ভগবান শিবের অঙ্গ হওয়ায় অত্যন্ত শুদ্ধ। অন্যদিকে, বিজ্ঞান মনের শান্তি এবং রাগ কাটিয়ে উঠতে রুদ্রাক্ষ পরার পরামর্শ দেয়। কিন্তু রুদ্রাক্ষ পরার পাশাপাশি এটিকে পবিত্র রাখাও অত্যন্ত জরুরি। তবে জীবনের কিছু কাজে রুদ্রাক্ষ পরিধান করলে তা অপবিত্র হয় এবং এর ফলও বিপরীত হতে শুরু করে। তাহলে চলুন জেনে নিই, কার ‘রুদ্রাক্ষ’ পরা উচিত নয় এবং কখন পরা নিষেধ।
ধূমপান এবং আমিষ খাওয়ার সময় রুদ্রাক্ষ পরবেন না
ধূমপান করতে ভুলে গেলেও রুদ্রাক্ষ পরা উচিত নয়, বিশেষ করে মদ্যপান এবং আমিষ খাওয়ার সময়। অন্যথায় এটি অপবিত্র হয়ে যায় এবং এর পরিণতি আপনার উপকারের পরিবর্তে ক্ষতি করতে পারে।
ঘুমানোর সময় রুদ্রাক্ষ পরবেন না
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী ঘুমালে শরীর অপবিত্র হয়ে যায়। যা রুদ্রাক্ষের পবিত্রতাকেও প্রভাবিত করে। তাই ঘুমানোর আগে রুদ্রাক্ষ খুলে ফেলাই ভালো। অন্যদিকে ঘুমানোর সময় রুদ্রাক্ষ বালিশের নিচে রাখলে মন শান্ত থাকে এবং খারাপ স্বপ্ন দেখা দেয় না।
শবযাত্রা থেকে রুদ্রাক্ষ দূরে রাখুন
তথ্যের অভাবে, অনেকে রুদ্রাক্ষ পরিধান করে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া বা শ্মশানে যান, তবে আপনার এটি করা এড়ানো উচিত। এর ফলে আপনার রুদ্রাক্ষ অশুদ্ধ হয়ে যায়, যা আপনার জীবনে খারাপ প্রভাব ফেলতে শুরু করে।
Read More :
সন্তানের জন্মের সময় রুদ্রাক্ষ পরবেন না
বিশ্বাস অনুযায়ী, সন্তান জন্মের পর মা ও সন্তান কিছু দিন অপবিত্র থাকে। এমন অবস্থায় রুদ্রাক্ষ পরে তাদের কাছে যাবেন না। মনে রাখবেন যে ঘরে মা এবং সন্তান থাকবেন সেখানে রুদ্রাক্ষ খুলে দিলেই প্রবেশ করুন। তবে সন্তানের নাম রাখার পর চিন্তা না করে রুদ্রাক্ষ পরতে পারেন।