দীর্ঘ উত্তেজনার পর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে 8 টায় ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের 9বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। রাশিয়ার সেনারা ইউক্রেনের অনেক এলাকায় পৌঁছেছে। ইউক্রেনের সামরিক স্থাপনায় বেশ কিছু প্যারাট্রুপার নামানো হয়েছে।
অন্যদিকে ইউক্রেন দাবি করেছে, তারা 6টি রুশ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। বলা হচ্ছে, ইউক্রেনের অনেক গ্রাম রুশ সেনাবাহিনীর দখলে চলে গেছে। এখানে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটছে। এদিকে বেলারুশ সীমান্ত থেকে রাশিয়াও হামলা চালায়। রাশিয়া এখন তিন দিক থেকে ইউক্রেন আক্রমণ করছে। অন্যদিকে, ন্যাটোও এখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক সামরিক পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, রুশ প্রেসিডেন্ট হামলার কথা স্বীকার করলেও তার সেনাবাহিনী বলেছে যে তারা এখন পর্যন্ত ইউক্রেনে হামলা করেনি।
পুতিনের ঘোষণা ও তাৎক্ষণিক হামলা
এর আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জাতীয় টেলিভিশনে হামলার ঘোষণা দেন। তিনি হুমকির সুরে বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে কেউ হস্তক্ষেপ করলে তার ফল হবে খুবই খারাপ। তার ইশারা ছিল মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনীর দিকে।
এই বিবৃতির 5 মিনিটের মধ্যে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ সহ বেশ কয়েকটি প্রদেশে 12টি বিস্ফোরণ হয়েছে। রাজধানী কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলাও হয়েছে। সেখানে বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই পদক্ষেপের কারণে ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার অভিযানও বন্ধ রাখতে হয়েছে। ইউক্রেনে ফেরত এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট বিপদের সতর্কতায়।
ইউক্রেনও হামলার জবাব দেয় এবং রুশ বিমান গুলি করে ভূপাতিত করে। ইউক্রেন বলেছে, আমরা এই হামলার জবাব দেব এবং এই যুদ্ধে জয়ী হব। এই সময় পুরো বিশ্বের উচিত জবাব দেওয়া এবং রাশিয়াকে থামানো উচিত।
Read More :
একটু পরে ইউক্রেন আরেকটি বিবৃতি জারি করেছে। ইউক্রেন বলেছে যে আমরা রাশিয়া, বেলারুশ এবং ক্রিমিয়া সীমান্ত থেকে … তিন দিক থেকে আক্রমণ করেছি। লুহানস্ক, খারকিভ, চেরনিভ, সুমি এবং জাটোমির প্রদেশে হামলা অব্যাহত রয়েছে।