নয়াদিল্লি: ভারতের পাঁচটি রাজ্যে নির্বাচনী পরিবেশের মধ্যে, কর্ণাটক থেকে উদ্ভূত হিজাব বিতর্ক ধীরে ধীরে গতি পাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটকে জন্ম নেওয়া হিজাব বিতর্ক দেশের বিভিন্ন রাজ্যে তোলপাড় সৃষ্টির পর এখন দিল্লিতে পৌঁছেছে। জাতীয় রাজধানী দিল্লির একটি সরকারি স্কুলের ছাত্রী একটি ভিডিওর মাধ্যমে অভিযোগ করেছে যে হিজাব পরে স্কুলে পড়তে গেলে তার শিক্ষকরা তাকে অপমান করেছেন। বিষয়টি দিল্লির মুস্তাফাবাদে অবস্থিত একটি সরকারি স্কুল বলে জানা গেছে।
হিজাব খুলে ফেলতে বলেছেন শিক্ষকরা
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, দিল্লির মুস্তাফাবাদের একটি সরকারি স্কুলের এক ছাত্রী অভিযোগ করেছে যে তাকে স্কুলে হিজাব খুলে ফেলতে বলা হয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে একথা জানিয়েছেন ওই ছাত্র। হিজাব পরা ওই ছাত্রী ভিডিওতে বলেন, শিক্ষকরা আমাকে ক্লাসে স্কার্ফ (হিজাব) না পরতে বলেছিলেন। ভিডিওতে ওই স্কুলছাত্রী বলেছে, তোমার মায়ের মতো হয়ো না এবং স্কার্ফ পরে স্কুলে আসো না। ওই ছাত্রী জানান, তাদের সঙ্গে আরও দুই-তিনজন মেয়ে ছিল, তাদের স্কার্ফ খুলে ফেলতে বলা হয়েছিল।
বাবার অভিযোগ কি?
মিডিয়ার সাথে আলাপকালে মেয়েটির বাবা জানান যে তার মেয়ের স্কুলে প্রথম দিন এবং সে আগে একটি প্রাইভেট স্কুলে পড়ত। তিনি বলেন, আমার মেয়ে সোমবার স্কুলে গিয়েছিল, এটি তার স্কুলে প্রথম দিন ছিল। তার ক্লাস টিচার পুরো ক্লাসের সামনে তাকে অপমান ও তিরস্কার করেন। শিক্ষক মেয়েটিকে বললেন, ‘কী পরেছ? মায়ের মতো আচরণ করবেন না এবং আবার ক্লাসে পরবেন না। তিনি জানান, ৪০-৫০ জন শিশুর সামনে শিক্ষক তাকে হয়রানি করেন। তিনি বিচ্ছেদের দ্বারপ্রান্তে ছিলেন। এরপর তিনি তার হিজাব খুলে ফেলেন।
সরকারি স্কুলের নিয়ম কী?
এ প্রসঙ্গে একটি সূত্র জানিয়েছে যে দিল্লির সমস্ত সরকারি স্কুলে গত কয়েক দশক ধরে এটি একটি প্রথা হয়ে আসছে যে কোনও মেয়ে হিজাব বা স্কার্ফ পরে স্কুলে আসলেও, স্কুল প্রাঙ্গণে প্রবেশের পরে, যাওয়ার আগে। ক্লাস। মেয়েটিকে এটা খুলে ফেলতে হবে।
Read More :
অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে
সূত্রের খবর, স্কুল প্রশাসন ওই ছাত্রীর অভিভাবকদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে সমাধান করেছে। সূত্র জানায়, এ ঘটনায় ওই ছাত্রী বিদ্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করলে শিক্ষকরা তাকে প্রচলিত রীতি অনুযায়ী স্কার্ফ খুলে ফেলার নির্দেশ দেন। পরে স্কুল প্রশাসন বিষয়টি তার অভিভাবকদের সাথে আলোচনা করে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে সমাধান করে।