প্রভাত বাংলা

site logo
Breaking News
||‘ওয়াশিং মেশিন’ নিয়ে মঞ্চে হাজির মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কটাক্ষ করলেন বিজেপিকে||রাশিফল ​​30 মার্চ 2023: জেনে নিন আগামীকালের 12টি রাশির রাশিফল||জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা… হাইকোর্ট থেকে স্বস্তি পেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়||সালমানকে একটি হুমকিমূলক ইমেল পাঠিয়েছিলেন গোল্ডি ব্রার : মুম্বাই পুলিশ জানিয়েছে- ইন্টারপোলের সহায়তায় পাওয়া গেছে||বিজেপির দুই নেতার বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়||প্রিন্স হ্যারির ফোন হ্যাকিং সম্পর্কে অবগত ছিল রাজপরিবার: প্রিন্স বলেছেন – মামলা এড়াতে পরিবার মিডিয়া সাথে চুক্তি||‘ দ্বিগুণ বেকার তৈরি করেছেন’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় , তীব্র আক্রমণ করলেন শুভেন্দু||এবার রাহুলের পাশে অভিষেক, তাহলে কি বদলে যাচ্ছে কংগ্রেস-তৃণমূলের সমীকরণ?||World CUP 2023: ভারতে নয়, বাংলাদেশে বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলতে পারে পাকিস্তান, পরিকল্পনা করছে ICC||রাজস্থান: জয়পুর বোমা বিস্ফোরণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত চারজন খালাস

ইউপিতে ঘুমাতে দিচ্ছে না গবাদিপশু, নির্বাচনে বড় ইস্যু এই সমস্যা

Facebook
Twitter
WhatsApp
Telegram
231

বারাণসী: এবার ইউপি নির্বাচনে বিপথগামী পশুদের ইস্যু বড় হচ্ছে। সরকার প্রতিটি গ্রামে একটি করে গোশালা নির্মাণের ঘোষণা দিলেও হয় সেগুলো নির্মাণ করা হয়নি এবং যেখানে নির্মাণ করা হয়েছে সেগুলো জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীও এ বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এই সমস্যা বাড়ছে। কৃষকের ফসল নষ্ট করছে পশুরা। বেনারসের ওয়াজিদপুর গ্রামে, সুরেন্দ্র তার খামারে ঢুকে পড়া বিপথগামী গবাদি পশুদের তাড়িয়ে দিচ্ছেন। আজকাল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের কাজ একই থাকে। তা সত্ত্বেও গবাদি পশুরা তাদের এক বিঘায় রোপণ করা তুর ফসল সম্পূর্ণ নষ্ট করে দিয়েছে।

ওয়াজিদপুর গ্রামের বাসিন্দা সুরেন্দ্র যাদব বলেন, আমাদের অনেক সমস্যা। পুরো মাঠ তছনছ করে, চলে যাওয়া, ঝামেলা। দিনে ১০ মিনিটের জন্য কোথাও গেলে পিছন থেকে সবাই এসে হারিয়ে যায়। আমরা যদি অন্য কোথাও হাঁক দিতে আসি, তাহলে সেখানকার লোকেরা এখানে হাঁক দেয়। সেই লোকদের সঙ্গে আমাদের মারামারিও হয়েছে।

সুরেন্দ্র যাদবের পাঁচ বিঘা চাষ। ইন্টার পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। শহরে গিয়ে কিছু করতে চান, কিন্তু বিপথগামী পশুদের তাড়ানোর সময় ফুরিয়ে আসছে। অনেক তরুণের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। সুরেন্দ্র যাদব বলেন, আমরা বেনারসে গিয়ে অন্য কিছু কাজ করতাম, কিন্তু এমন পরিস্থিতি এসেছে যে সারাদিন আমাদের খামারের নজরদারি করতে হবে, প্রহরী কাজ করতে হবে। কোথাও ১০ মিনিটের জন্যও গেলে সব ষাঁড় চলে আসে।

বিমল সুরেন্দ্রের খামারের কাছে স্কুলের পাশের জমিতে সবজি চাষ করে। তারা টিন দিয়ে সবজি ঘেরাও করলেও তাতে পশুও আসে। কৃষক সুবিমল কুমার মালি বলেন, এখানে সমস্যা একটাই, সারাদিনই বন্য পশু, বিপথগামী গরু-মহিষ আসা-যাওয়া করে। আমার সবজি খাও। তাই টিন ইত্যাদি রেখেছি।

বারাণসী সদর থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে হারহুয়া ব্লকের এই ওয়াজিদপুর গ্রামে তিন বছর আগে একটি সরকারি গোয়ালঘর তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে পশু রাখা হতো। কিন্তু পরিচর্যা ও পরিচর্যার অভাবে গত বছর ৭০টি গরু মারা গেছে। তখন গোয়ালঘরটি বন্ধ হয়ে যায়। এখন শুরু হয়েছে কিন্তু টাকার প্রয়োজন আছে।

ওয়াজিদপুর হারহুয়া গ্রামের প্রধান নর্মান যাদব জানান, গোশালার অবস্থা খুবই নাজুক। প্রথমবারের মতো, অর্থপ্রদান সময়মতো আসে না, তত্ত্বাবধায়কদের কাছে ১০-১১ মাস ধরে টাকা বাকি রয়েছে। খড়ের টাকাও সময়মতো দেওয়া হয় না। ধীরে ধীরে অর্থ প্রদানের পর দুই বছর হয়ে গেছে।

ওয়াজিদপুর গোশালার তত্ত্বাবধায়ক সঞ্জু দেবী বলেন, এক বছর আগে ১১ মাসে ৩ হাজার টাকা পাওয়া যেত। তার পর এক টাকাও পাইনি।

এখন মাঠে বেড়া দেওয়ার ব্যবসাও শুরু হয়েছে। এক বিঘায় ১৭১৬ ফুট তার লাগে। স্থানীয় এবং ব্র্যান্ডেড তারগুলি আলাদা। কিন্তু যাই হোক না কেন, এক বিঘা একটি তার ১০,০০০ টাকার উপরে পায়।

টাটা ওয়্যার ডিলার সঞ্জয় কুমার গুপ্ত বলেন, গরু, নীলগাই, গদরোজ কৃষকের ফসলের ক্ষতি করে। তারা দিনের বেলা কঠোর পরিশ্রম করে এবং পশুরা রাতে ফসল খায়। তাই ফসল রক্ষার দৃষ্টিকোণ থেকে কৃষকরা তাদের ক্ষেতে কাঁটাতার লাগিয়ে দেয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর